বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জন্স অফ গ্লাসগো থেকে এফআরসিএস ডিগ্রির সনদপত্র গ্রহণ করেছেন। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাকে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জন্স অফ গ্লাসগোর সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ সনদ প্রদান করা হয়। তিনিই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কোন উপাচার্য যিনি এই ডিগ্রি অর্জন করলেন।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর খ্যাতিমান চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জন্স অফ গ্লাসগো থেকে এফআরসিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।চক্ষু রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি অন্ধত্ব দূরীকরণ এবং চক্ষু রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনা সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে তাঁর। চোখের রোগসমূহের চিকিৎসা, প্রতিরোধসহ কমিউনিটি অফথালমোলজিতে অসামান্য অবদান রয়েছে তাঁর। চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ সংগঠক ও প্রশাসক।
গত বছরের ২৯ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এর আগে তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব হিসেবে বিএসএমএমইউ এর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), প্রিভেনটিভ এন্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন, কমিউিনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বিএসএমএমইউর স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের ইসি সদস্য। তিনি অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের পরপর তিনবার নির্বাচিত সভাপতি। চলতি বছর ১৩ এপ্রিল অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে সিনেট সদস্য মনোনিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১০০ টি’র মত বিএমডিসি স্বীকৃত জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক প্রকাশনা রয়েছে অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের। বাংলায় চক্ষু বিষয়ক ৩টি ও ইংরেজিতে ২টি বই রয়েছে। তিনি গ্রামেগঞ্জে কমিউনিটি চক্ষু শিবিরে প্রায় ১ লাখ চোখের অপারেশন করেছেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার কলামিস্ট। টিভি ও রেডিওর টকশোতেও অংশগ্রহণ করেন। আন্তর্জাতিক সম্মাননার মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট পরিসেবা পুরস্কার (২৭তম এপিএও কংগ্রেসে উপস্থাপিত, বুশান ২০১২), অন্ধত্ব প্রতিরোধ সম্মাননা (এপিএও এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অফ অফথালমোলজি ২০১৬), নেপালের পোখারেল ভেস্কটস্বামী পাড়া রাজাসাগরাম (পিভিপি), কমিউনিটি চক্ষুবিদ্যায় অসাধারণ কাজের জন্য পুরস্কার (এসএও) ২০১৮, স্বর্ণ পুরস্কার সিসিসি কলকাতা ২০১৯, এআইওসি অ্যাওয়ার্ড গুরুগ্রাম ২০২০ উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বড় দুই ভাই মুক্তিযোদ্ধার সাথে তিনিও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।